মালয়েশিয়া আজকের খবর
মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমোডিটিজ মন্ত্রী দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারুদ্দিনকে গোল্ড এমব্লেম সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)। নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান রাখায় তাঁকে এ সম্মাননা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউআইটিএস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে এক অনুষ্ঠানে জুরাইদা কামারুদ্দিনের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়েছে। ইউআইটিএস বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সম্মাননা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ সোলায়মান।
ইউআইটিএস কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়ার মন্ত্রী জুরাইদা কামারুদ্দিনকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ বা বৃত্তি নিয়ে তাঁর দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। জবাবে জুরাইদাহ কামারুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে ইউআইটিএস ও পিএইচপি ফ্যামিলিসহ বাংলাদেশের শিক্ষা ও শিল্প খাতের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউআইটিএস ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, পিএইচপি ফ্যামিলি ও বাংলাদেশ সেনাকল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান, মালয়েশিয়ার ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মাড জাইদি বিন মোদ কারলি ও ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার।
মালয়েশিয়ায় শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও কর্মক্ষেত্রে তার প্রভাব দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্ল্যান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমোডিটিজ মন্ত্রী দাতুক হাজাহ জুরাইদা বিনতে কামারউদ্দিন। তিনি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর কথা বলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রিন রোডে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কার্যালয়ের আয়োজনে ‘কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা এবং করোনার প্রভাব’ শীর্ষক সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মালয়েশিয়ার এই মন্ত্রী বলেন, নারীদের সম্ভাবনা আছে। তাঁরা নেতৃত্ব দিতে পারেন। নারীদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আসতে হবে। মূলধারায় এসে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ নারী উল্লেখ করে দাতুক বলেন, শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সে পরিমাণ উপস্থিতি দেখা যায় না। এই অবস্থা পাল্টাতে হবে। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার সম্পদ অনেক থাকলেও তাতে নারী ও পুরুষের অধিকার সমান নয়।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেন, নারীরা কোনো বৈঠকে এলে সেখানে চা বা কফি বানানো তাঁদের কাজ নয়। তাঁরা বৈঠকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন এবং নিজের মতামত দেবেন, কথা বলবেন। তাঁদের গতানুগতিক ধারণা থেকে বের করে আনতে হবে।
এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দাতুক বলেন, পড়াশোনা করে কর্মক্ষেত্রে আসতে হবে। এ ছাড়া তিনি ছেলেদের জেন্ডার সহনশীল হওয়ার পাশাপাশি নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি দেশ যত এগোয়, সে তত জেন্ডার সহনশীল হয়। করোনায় লিঙ্গসমতা কিছুটা ভিন্ন হলেও নারীর ক্ষমতায়নে বিরূপ প্রভাব পড়েনি বলে উল্লেখ করেন এই মন্ত্রী।
সভায় অংশ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মুক্তিযুদ্ধে মালয়েশিয়ার ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। এ ছাড়া বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে মালয়েশিয়া আরও এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নুরুল মজিদ বলেন, বাংলাদেশে সব পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে এবং লিঙ্গবৈষম্য কমাতে সরকারের নানান পদক্ষেপ রয়েছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আলাউদ্দিন, সদস্য কে এম মজিবুল হক, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান কাইয়ূম রেজা চৌধুরী, উপাচার্য কামরুল আহসানসহ প্রমুখ।
মালয়েশিয়া ভাষা
মালয় ভাষা একটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষা। সুমাত্রা দ্বীপ ও মালয় উপদ্বীপকে বিভক্তকারী মালাক্কা প্রণালীর উভয় তীরেই মালয় জাতির লোকেরা ভাষাটিতে কথা বলে। মালাক্কা প্রণালী সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্যপথ বলে পর্যটকেরা মালয়দের ভাষার সংস্পর্শে আসে এবং ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপগুলির সর্বত্র ভাষাটি ছড়িয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে মালয় ভাষা ইন্দোনেশিয়ার সার্বজনীন ভাষা বা লিঙ্গুয়া ফ্রাংকাতে পরিণত হয়। মূলত এই কারণেই ভাষাটিকে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ভাষা হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
মালয় ভাষার উপর ভিত্তি করেই ইন্দোনেশিয়াতে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। একই ভাবে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব প্রান্তে খ্রিস্টধর্মের বিস্তারেও ভাষাটি ভূমিকা রেখেছে।
মালয় ভাষা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের সরকারি ভাষা এবং সিঙ্গাপুর এর চারটি সরকারী ভাষার একটি। পূর্ব তিমুর এ এটি কর্মক্ষেত্রের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রতে ভাষাটি প্রচলিত। মালয় ভাষা ২ থেকে ৩ কোটি লোকের মাতৃভাষা।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জে প্রচলিত মালয় উপভাষাটিকে আদর্শ মালয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ধারণা করা হয় রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জেই ভাষাটির উৎপত্তি ঘটে। দেশভেদে মালয় ভাষা ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত।
মালয়েশিয়াতে এটি "বাহাসা মেলায়ু" বা "বাহাসা মালয়েশিয়া" নামে পরিচিত। ১৯৬৮ সালে এটি মালয়েশিয়ার একমাত্র সরকারি ভাষার স্বীকৃতি পায়। তবে সংখ্যালঘু ভারতীয় ও চীনা সম্প্রদায়ে ইংরেজির প্রচলন বেশি। ব্রুনাই ও সিঙ্গাপুরে এটি মালয় বা বাহাসা মেলায়ু নামে পরিচিত। উভয় দেশেই ইংরেজি বর্তমানে প্রভাব বিস্তার করছে। ইন্দোনেশিয়াতে এটি "বাহাসা ইন্দোনেশিয়া" নামে পরিচিত। ইন্দোনেশিয়াতে এটি একটি বহুজাতিক সার্বজনীন ভাষা। সম্প্রতি স্বাধীনতা লাভকারী পূর্ব তিমোরেও বাহাসা ইন্দোনেশিয়া প্রচলিত এবং কার্যভাষা হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃত।
বাহাসা মেলায়ু এবং বাহাসা ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। উচ্চারণ, বানান ও শব্দভাণ্ডারেই মূল পার্থক্যগুলি দেখা যায়।
পূর্বে মালয় ভাষা আরবি-ভিত্তিক জাবি লিপিতে প্রচলিত ছিল। কিন্তু ওলন্দাজ ও ব্রিটিশ উপনিবেশায়ন এর কারণে বর্তমানে মালয় ভাষা লাতিন লিপিতে প্রচলিত। তবে ব্রুনাইতে মালয় ভাষা এখনো দাপ্তরিকভাবে জাবি লিপিতে প্রচলিত।
মালয়েশিয়ার সরকারী ভাষা হ'ল মালয়েশিয়ার মানকৃত রূপ মালয় ভাষা (মালয়: বাহাস মালয়েশিয়া).[4] মালয়েশিয়ায় 10 টি মালয় ভাষা ব্যবহৃত হয়।[3] এর পরে মলয় প্রধান হয়ে উঠল 13 মে ঘটনা.[5] এর একটি বৈকল্পিক মালয় ভাষা যে কথা বলা হয় ব্রুনেই পূর্ব মালয়েশিয়াতেও সাধারণত এটি কথিত হয়।[হদফ ঘ] স্থানীয় মালয় উপভাষার ব্যবহারের পরে স্ট্যান্ডার্ড মালয় প্রায়শই দ্বিতীয় ভাষা হয়।
স্ট্যান্ডার্ড ভাষাটি সমস্ত জাতির জুড়ে জাতির একত্রিত প্রতীক হিসাবে প্রচার করা হয়, এর ধারণার সাথে যুক্ত বঙ্গসা মালয়েশিয়া (মালয়েশিয়ার জাতি) জাতীয় ভাষা হিসাবে স্ট্যাটাসটি এর 152 অনুচ্ছেদে কোড করা হয়েছে সংবিধান.[6] এর উত্তরণ জাতীয় ভাষা আইন 1963/67 ভাষার অবস্থানও জোরদার করেছিল। ১৯৯ 1996 সালের শিক্ষা আইনটি উল্লেখ করেছে যে কিছু ব্যতিক্রম বাদে মালয়কে "জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার প্রধান মাধ্যম" হতে হবে।এনসাইক্লোপিডিয়া site:wikigbn.icu